Bangla Choti Golpo • Chotimela • পর্ব ১ • বিজ্ঞাপনমুক্ত (2024)

পূর্বসূত্র:জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা নিয়ন্ত্রণ করা সবসময় সম্ভব হয় না ৷ বিশেষ করে কিছু যৌনসর্ম্পকের ঘটা তার ব্যাখা দুরহ ৷ এই ঘটনা টি তেমন এক মেয়ে ও বাবার মধ্যে অভাবনীয় ভাবেই ঘটে যাওয়া এক অজাচার যৌনতার ঘটনা ৷ তারই এক বাস্তব অনুলিখন।

চরিত্র:
রিমা পাল (বয়স: ১৮+)
অতীশ পাল (বয়স: ৪৮)
ঘটনার সময় কাল: ২০০৫
স্থান: বারাসাত৷

“আদরের মেয়েবেলা কেটে যায় হেসেখেলে।
রাতারাতি বড়ো হয় শ্বশুরের বাড়ি গেলে।
নিয়মের বেড়াজালে কতো কিছু করা মানা।
চলাফেরা হাসা বলা সবই যেন হাতে গোনা।
সকলকে সুখে রাখা অতি বড়ো দায় যার।
নিজে সুখী হতে চাওয়া মহাপাপ হয় তার।
সংসারের যতো কাজ করে সে নিজের বলে।
পান থেকে চুন গেলে সাজাটা জরুর মিলে।
পিতা পতি ছেলেমেয়ে, সবই যদি হয় তার;
তাদের ঘরটি কেন হয় নাকো আপনার?
হয়েছে সামান্য মেয়ে, এই বুঝি অপরাধ?
নিজেকে চালিত করার, নেই তার কোন সাধ??”

রিমা রেডি হয়েছিস কী তুই স্কুলের জন্যে? ১২ টা থেকে কিন্তু পরীক্ষা।
অতীশ বিছানায় বসে মেয়েকে ডাকতে থাকে। রিমা অতীশের একমাত্র মা মরা মেয়ে, একটা অ্যাক্সিডেন্ট রিমার মা এর জীবন নিয়ে নেয়, হ‍্যা অতীশ ও সাথে ছিল, প্রানে বেঁচে এসেছে তবে পা দুটো আর নেই। আজ থেকেই রিমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু ৷
পাশের ঘর থেকে বাবার আওয়াজ এই রিমা খুব বিরক্ত হয়ে এ ঘরে আসে, “আহহহ বাবা এখনো অনেক সময় আছে, সবে দশটা বাজে আর পাশেই তো স্কুল, আমি ঠিক সময়মতো চলে যাব, তুমি চিন্তা কোরো না।এখন আরো একটু পড়া গুলো চোখ বুলিয়ে নেই।”
অতীশ মেয়েকে কাছে ডাকে, বলে তা বললে কী চলে রিমা? আজ থেকে তোর পরীক্ষা শুরু আর আমি তোকে দিয়ে আসবো না?
রিমা বলে ওঠে, কিন্তু বাবা তুমি এই অবস্থায় রোজ দোকানে যিও ৷ আজ না হয় একটু রেস্ট নাও ৷ না হলে কাল আবার কীভাবে যাবে? আর কেন ই বা কষ্ট করবে?
অতীশ বলে “দূর পাগলী কষ্ট কেন হবে, তোর মনে সাহস যোগাতে হবে না বুঝি? স্কুল মাঠে সকলের মা অথবা বাবা থাকবে, আর তুই আমি থাকতেও ওখানে সবার মাঝে একা থাকবি, এতে তোর কী কষ্ট হবে না?
রিমা চুপ করে থাকে, মনের চাপা কষ্টটা কখনও সে বাবাকে জানতে দেবে না, এটা সে প্রতিজ্ঞা করেছিল, কারন সে কষ্ট পেলে বাবা দ্বিগুণ কষ্ট পাবে, স্কুলে বাবাকে নিয়ে গেলে বেশ কিছু বদমাইশ মেয়েদের গ্ৰুপ আছে যারা তার বাবাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে, এর আগেও একবার করেছিল যখন তার বাবা পরীক্ষার ফি জমা দিতে গেছিল, ওদের কে রিমা এটা বুঝিয়ে পারেনি যে কারো দুঃখে কখনো হাসতে নেই, আর তার বাবার পা দুটো একটা অ্যাক্সিডেন্ট এ বাদ গেছে, কিন্তু ওরা বুঝবে না, আর তাই আজ বাবা যদি স্কুলে যায় আর আজ যদি ওরা বাবার সামনেই এই বাবার পঙ্গু হয়ে যাওয়া নিয়ে কিছু বলে, রিমা একদম সহ‍্য করতে পারবে না, বাবাকে কষ্ট দিতে সে পারবে না।

কিন্তু যথারীতি অতীশ কোনো কথাই শুনলো না মেয়ের, ঐ স্ক্র‍্যাচ দিয়ে কোনভাবে আস্তে হেটে মেয়ের সাথে স্কুলে পৌঁছাল।
রিমা একটু ইতস্তত বোধ করছিল, বাবাকে মাঠের পাশের বটগাছের নীচে বসিয়ে স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দূর থেকে বাবার দিকে নজর রাখছিল, এখনো স্কুলের গেট খোলেনি, একটু পরেই খুলবে। মাঠে খুব হাওয়া চলছিল ৷
রিমা খেয়াল করল ফিনফিনে হাওয়ায় বাবার ফুলপ‍্যান্ট এদিক ওদিক দুলছে, মানুষ টা কিন্তু সেটা নিয়ে একটু ও ভাবে না যে তার পা দুটো আর নেই, সে ফুটবল খেলা দেখতে ব‍্যস্ত, কীভাবে অভ‍্যস্ত হল একরকম ভাবে জীবন কাটিয়ে আর এক রকমভাবে জীবন কাটাতে? হঠাৎ খেয়াল করল সেই বদমাইশ দুটো মেয়ে তার বাবার কাছে গেছে ৷ রিমা তো তার পরীক্ষার সব পড়া ভুলতে বসল, মনে মনে ঠাকুর কে ডাকতে লাগল, এ কি বিপদ এনে দিলে শ্রী রামকৃষ্ণ, তুমি বাচাও, ওরা বাবাকে কী না কী বলবে, এই ভাবতে ভাবতে স্কুলের গেট খুলে গেল, ঘন্টা বাজল ৷ সবাই হুড়োহুড়ি করে গেটের ভেতরে ঢোকার তাড়ায় ব‍্যস্ত।

রিমা ওই অত ভিড়ে আর দূরের কিছু দেখতে পেল না৷ যথারীতি পরীক্ষা দিয়ে খুব হন্তদন্ত হয়ে বাবা ঠিক আছে কিনা দেখতে দৌড়ে মাঠে গেল। কিন্তু বটগাছের নীচে বাবাকে বসে থাকতে না দেখে বুক শুকিয়ে যাচ্ছিল তার, মনে মনে ভাবল “কী হল, ওরা নিশ্চয়ই খারাপ কিছু বলেছে, আর তাই বাবা কষ্ট পেয়ে বাড়ি গেছে। এমন সময় কাঁধে একটা হাতের ছোঁয়া য় ফিরে তাকায় রিমা, দেখে বাবা।
কী গো কোথায় গেছিলে তুমি, তোমায় না বারন করেছিলাম…
রিমাকে থামিয়ে দিয়ে অতীশ বলে- আরে এত রাগ করিস কেন? আমি কী ছোট বাচ্ছা?নাকি আমি পঙ্গু বলে তুই এত ভাবিস?
বাবা…নিশ্চয়ই ওই বদমাইশ মেয়ে দুটো এই খারাপ কথা তোমায় বলেছে, নাহলে এতদিন তো এরম বলতে না।
অতীশ একটু থেমে রিমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলে-আরে না রে না, ওরা তো তোর ই বয়সী, তোর সাথেই তো পরীক্ষা দিল, আমায় ওরা পরীক্ষার আগে প্রনাম করতে এসেছিল। আর বলল ওরা যদি কোনো ভুল করে থাকে ওদের ক্ষমা করে দিতে, ওরা খুবই অনুতপ্ত নাকি ওদের ব‍্যবহারে, আমি তো অবাক, জানিও না ওরা কি ভুল করেছে। তবে আমি মন ভরে আশীর্বাদ করেছি ওদের। অতীশ বাকি কথা চেপে রিমার মন রাখতে বলে-কেন?কি করেছে রে ওরা রিমা?
রিমা তার বাবার কথা শুনে থমকে গেল, যাদের ও এত খারাপ ভাবছিল, আজ তারাই হয়ত ওর বাবাকে দেখে অনুভব করতে পেরেছে বাবার কষ্ট, নাহহ বাবাকে তো বলাই যাবে না, ওরা কী বলেছিল! যা হয় ভালোর জন্যই হয়, তাই ভগবান ই ওদের কে দিয়ে বলিয়ে দিয়েছে ওদের ভুলটা, সেই অনুভব হয়ত ভগবানের কৃপাতেই হয়েছে, নাহলে কদিন আগেই যারা বাবাকে নিয়ে এত হাসাহাসি করল, আজ এত বদলে গেল! যাক সেই কথা ও বাবাকে বলে কষ্ট পেতে দেয়নি। মনে মনে ভগবানকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে বাবাকে নিয়ে ফিরে চলল তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। অতীশও মেয়ের মুখ চেয়ে ও আগামী পরীক্ষার দিনগুলোর কথা ভেবে আজকের কথাগুলো মনে মনে গিলে নেয় ৷

যথারীতি রিমার পরীক্ষা ভালোভাবেই উতরে যায় ৷ অতীশও খুশি হয় রিমার আত্মবিশ্বাস দেখে ৷ কিনতু অতীশের মনে ভেসে ওঠে প্রথমদিন রিমার ক্লাসের ওইদুটো বিচ্ছু মেয়ের বদামাইশির কথা ৷ রিমাকে যদিও বলেছিল ওরা প্রণাম করতে এসেছিল ৷ কিন্তু তার বদলে ওরা দুজন যে পালা করে…অতীশের প্যান্টের উপর দিয়ে তার লিঙ্গটাকে টেপাটেপি করে হাসছিল আর বলছিল…বা, কাকু আপনার মাঝের পা দেখছি দারুণ তাগড়াই ৷ রিমা কি টেস্ট পেয়েছে এটার ৷ অতীশ ওদের এই কান্ড ও কথায় অবাক হলেও ওর ভিতরের এই শক্তিটা এখন আছে জেনে উত্তেজনা অনুভব করছিল ৷ তবে আজ ওদের বলা ‘রিমা কি টেস্ট পেয়েছে’ এই কথাটা মনে করে নিজেকে শাসন করতে চেষ্টা করল ৷ এমন সময় রিক্সাটা খারাপ রাস্তায় পড়ে ঝাঁকুনি দিতে থাকল, প্রথমটায় একটা বড় গচ্চায় রিক্সাটা পড়তেই ঝাঁকুনির চোটে রিমা লাফিয়ে উঠে অতীশের কোলে এসে পড়ল, ফলে ওর নরম পাছাটা অতীশের শক্ত হয়ে ওঠা লিঙ্গের সঙ্গে ধাক্কা খেল ৷
রিমা চকিতে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে অতীশকে দেখে নড়েচড়ে ঠিক হয়ে বসল কিন্তু ঝাকুনির নড়াচড়ায় অতীশের ধোন মেয়ের পাছায় ক্রমাগত ঘষা খেতে লাগল ৷ মনে হল ওটা বুঝি প্যান্ট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে। আবার একটা বড় ঝাকুনি এবার ধোনটা সরাসরি মেয়ের পাছার ফাঁকটায় ধাক্কা দিল।
রিমা বলল, “বাবা আমি পড়ে যাচ্ছি আমাকে একহাতে ধর।”
অতীশ ‘হ্যাঁ, মা’ ধরছি বলে -একহাতে রিক্সার হাতলটা ধরল ৷ আর অন্যহাতে ওর কোমরটা জড়িয়ে ওকে নিজের কোলে চেপে বসিয়ে নিল৷ সরু নরম কোমর, মোলায়েম পাছার স্পর্শে অতীশের ইচ্ছে করছিল একঠাপে… পরক্ষনেই মনকে শাসন করল ছিঃ ছিঃ কি সব ভাবছে ও৷ তারপর আরও কিচ্ছুক্ষন ঝাকুনি খেতে খেতে এগিয়ে চলল ৷ অনিচ্ছাসত্বেও দু’একবার হাতটা মেয়ের বুকের নিচের দিকে ঠেকে গেল, ভেতরে ব্রা থাকায় স্পর্শটা না পেলেও বেশ অনেকটা জায়গা নিয়ে দানা বেঁধে জিনিসটা সেটা বুঝতে পারল৷ অতীশ একটা কুচিন্তার ঘোরে ডুবে গেল৷

*চলবে…

অনুলিখন: রতিনাথ রায়
royratinath(at)gmail(dot)com এ mail করে আপনাদের মতামত জানাতে পারেন৷

*অতীশের মনে কুচিন্তার প্রভাবে বাপ-মেয়ের সর্ম্পকে কি আলোড়ন তৈরি করে তা জানতে আগামী পর্বে নজর রাখুন ৷

Bangla Choti Golpo • Chotimela • পর্ব ১ • বিজ্ঞাপনমুক্ত (2024)

References

Top Articles
Latest Posts
Article information

Author: Geoffrey Lueilwitz

Last Updated:

Views: 5734

Rating: 5 / 5 (60 voted)

Reviews: 83% of readers found this page helpful

Author information

Name: Geoffrey Lueilwitz

Birthday: 1997-03-23

Address: 74183 Thomas Course, Port Micheal, OK 55446-1529

Phone: +13408645881558

Job: Global Representative

Hobby: Sailing, Vehicle restoration, Rowing, Ghost hunting, Scrapbooking, Rugby, Board sports

Introduction: My name is Geoffrey Lueilwitz, I am a zealous, encouraging, sparkling, enchanting, graceful, faithful, nice person who loves writing and wants to share my knowledge and understanding with you.